বাংলাদেশের সনামধন্য প্রত্রিকা “দৈনিক ইত্তেফাক” এ গত ২৬ ও ২৭ এপ্রিল ২৪ইং তারিখে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সনদ জালিয়াতি বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্টটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হওয়ায়, আমরা লক্ষ করেছি সেখানে সনদ জালিয়াতির রিপোর্ট করতে গিয়ে কারিগরি বোর্ড থেকে পাশকৃত প্রায় ৪০ হাজার মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট এবং নার্সদের হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। যারা সনদ জালিয়াতি করেছে এবং যারা জাল সনদ নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধ ইতিমধ্যে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে এজন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই। এই ঘটনার জন্য কারিগরি বোর্ড থেকে পাশকৃত সবাইকে ঢালাওভাবে অভিযুক্ত করা সমীচীন নয়।
১/ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে থেকে ২০০৬ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৩-৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল টেকনোলজির সকল ডিপার্টমেন্ট এবং নার্সিং ডিপার্টমেন্ট সহ মোট পাশ করেছে প্রায় ৪০ হাজার, এরমধ্যে শুধুমাত্র নার্সিং ডিপ্লোমা ৫ হাজার ৫ জনের মতো হবে (অনুমানিক)।
২/ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পেক্ষিতে ২০২০ সালে নার্সিং এবং মেডিকেল টেকনোলজির সকল ডিপার্টমেন্টের কোর্স বন্ধ করে পাশকৃত সবাইকে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে ন্যাস্ত করেছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড। ২০২০ সালে কোর্স বন্ধ করে ২০২৪ সালে এসে কিভাবে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও নার্সরা জাল সনদ নেয় এটা আমাদের বোধগম্য নয়। কারিগরি বোর্ডে এখন শুধুমাত্র ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু আছে, এখন সনদ জালিয়াতি হলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের হওয়ার কথা। কারন গত ২০২০ সালে অভিযুক্ত কারিগরি বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান, সিস্টেম এ্যানালিষ্ট দায়িত্বে ছিলেন না, উনারা ২০২০ সালের পরে দায়িত্ব গ্রহন করেছেন।
৩/ ইত্তেফাক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে কারিগরি নার্স এবং টেকনোলজিস্টরা উচ্চ আদালতের রায়ে হেরে গিয়েছে; এটা ভুল, বরং আদালতের সব রায় আমাদের পক্ষ হয়েছে। আমরা বাংলাদেশ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এ্যালায়েন্স (বিএমটিএ)র পক্ষ থেকে এই রিপোর্টের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অনতিবিলম্বে এই রিপোর্ট সংশোধন করে সঠিক রিপোর্ট প্রচার করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। অন্যথায় আমরা এর বিরুদ্ধে মানহানিকর আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিষয়ে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছেন। এটাকে আমরা বিএমটিএ’র পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানাই এবং সমর্থন করি। তাছাড়া যারা এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত, সেসকল শিক্ষার্থী যারা সনদ গ্রহণ করেছে এবং যারা দিয়েছে আমরা উভয়ের শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
অনুলিপিঃ
১/ সম্পাদক দৈনিক ইত্তেফাক, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
২/ সম্পাদক/ বার্তা প্রধান সকল জাতীয় দৈনিক।
প্রতিবাদে
ইলিয়াছ হোসেন ইলু
সভাপতি বিএমটিএ, কেন্দ্রীয় কমিটি
শামীম শাহ্-
মহাসচিব বিএমটিএ, কেন্দ্রীয় কমিটি