সোনার বাংলা নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের দ্বিতীয়বারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আলমগীর কবীর রানা এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাকির হোসেন।
আজ শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়নে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংসদের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তাদেরকে ফের সভাপতি ও সম্পাদক মনোনীত করা হয়।
১৭ জনের কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন রিন্টু শিকদার। সম্মেলনে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ডিপ্লোমা পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজিকে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারী এর সমতুল্য করে গেজেট প্রকাশ করায় সর্ব সম্মতিক্রমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
একই সঙ্গে সরকারের যুগান্তকারী এই সিদ্ধান্ত আনার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখায় সংগঠনের পক্ষ থেকে পাঁচজনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধিতরা হলেন, বঙ্গবন্ধু হিউম্যান ওয়েলফেয়ার কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামসুল হক, স্বাধীনতা ডিপ্লোমা ফিজিওথেরাপিস্ট পরিষদের সভাপতি এম কে পারভেজ, বাংলাদেশ মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমটিএ) আহ্বায়ক ইলিয়াস মোল্লা ইলু, বিএমটিএ’র সদস্য সচিব শামীম শাহ এবং বিএমটিএ’র যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম রসুল স্বপন। সম্মেলনে প্রায় ৫০০ শতাধিক নার্স উপস্থিত ছিলেন।
আলমগীর কবির রানা বলেন, ২০০৫ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চালু হওয়া ‘ডিপ্লোমা ইন পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজি’ কোর্সটি ২০১৩ সালে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারী কাউন্সিলের সঙ্গে মিল রেখে নাম পরিবর্তন করে ‘ডিপ্লোমা ইন নার্সিং টেকনোলজি’ রাখা হয়।শুরুতে কোর্সের মেয়াদ ৩ বছর থাকলেও পরবর্তিতে ৪ বছর করা হয়। বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল এর ডিপ্লোমা ৩ বছর মেয়াদী কোর্স। ৩৫ টি টোটাল সাবজেক্টে বিপরীতে ক্রেডিট হলো ১১০, সর্বমোট মার্কস ৫৭৫০।
অন্যদিকে, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ডিপ্লোমা ইন নার্সিং টেকনোলজি (পেশেন্ট কেয়ার) পূর্বে ৩ বছর এবং ২০১৩ সাল থেকে ৪ বছরে উন্নীত করা হয় যার টোটাল কোর্সের সাবজেক্ট হলো ৪৪ টি যার ক্রেডিট হচ্ছে ১৪৪ এবং মার্ক হলো ৭২০০।এতকিছু থাকার পরেও যখন বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারী কাউন্সিল কারিগরি শিক্ষা বোডের ছাত্র-ছাত্রীদের পেশাগত সনদ দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। মহামান্য হাইকোর্ট এবং আপিল বিভাগ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে রায় দেওয়ার পরও পরিকল্পিতভাবে অনাহূত পরিস্থিতির অবতারণা করা হয়। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচরে আনা হলে তার হস্তেক্ষেপে বিষয়টির সুষ্টু সুরাহা হয়। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিরকৃতজ্ঞ।