01718-763398, 01787-290019

logo-last

অধিকাংশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে মেশিন বিকল

অধিকাংশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে মেশিন বিকল
কাজে আসছে না সরকারের শতকোটি টাকার উদ্যোগ।
ধারাবাহিক পর্বের প্রথম পর্ব আজ

আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আধুনিক চিকিৎসার পূর্বশর্ত রোগ নির্ণয় । কিন্তু লোকবল সংকটে প্রান্তিকে বাড়েনি পরীক্ষা – নিরীক্ষা সুবিধা ।

মেশিন থাকলেও নেই অপারেটর । অবহেলায় কোথাও অপারেটর থাকলেও অচল এক্স – রে মেশিন । তৃণমূলের অভিযোগ রয়েছে , যেসব প্রতিষ্ঠানে এক্স – রে মেশিন সচল স্বাস্থ্যসেবা -১ ও অপারেটর রয়েছে সেখানে চিকিৎসকের কমিশনের লোভে ক্লিনিকে পাঠানো হচ্ছে রোগী । লোকবল সংকট আর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কাজে আসছে না সরকারের শতকোটি টাকার উদ্যোগ । সারা দেশে ৩৯২ টি এক্স – রে মেশিন বিকল । এতে নষ্ট হয়েছে প্রায় ৩৫ কোটিরও বেশি টাকা । অধিকাংশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে এক্স-রে সেবা মেলেনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে ক্সে সারা দেশে ৭৪৬ টি এক্স – রে মেশিনের ৩৯২ টিই বিকল স্বাস্থ্যের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও মেলে না সমাধান দ্রুত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের দাবি জন স্বাস্থ্যবিদদের।

বাংলাদেশ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যালায়েন্স

(বিএমটিএ) সদস্য সচিব শামীম শাহ বলেন , সরকারি হাসপাতালসহ সারা দেশে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে মেডিকেল টেকনোলজিস্টের পদে মহাসংকট থাকলেও নিয়োগের ক্ষেত্রে দৃশ্যত কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না । বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী দেশে লক্ষাধিক মেডিকেল টেকনোলজিস্ট প্রয়োজন । একদিকে প্রায় ২৫ হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট বেকার পড়ে আছে অন্যদিকে কোটি কোটি টাকার মেশিনপত্রগুলো অচল অবস্থায় রেখে নষ্ট করা হচ্ছে । সাধারণ মানুষকে তাদের প্রাপ্য সেবা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে ।

তিনি ২০১৩ সালের স্থগিত নিয়োগ সম্পন্নসহ নতুন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জনবল নিয়োগ করে তৃণমূলের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার দাবি জানান । বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা . ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল বলেন , অপারেটর বা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট না থাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ঘিরে সরকারের উদ্যোগ ব্যাহত হচ্ছে । বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছে সরকার । সাধারণ মানুষ ও চিকিৎসকদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি তৈরি হচ্ছে । হাসপাতালে এক্স – রে মেশিন থাকার পরও অপারেটরের অভাবে রোগী যখন বাইরে থেকে এক্স রে করাচ্ছে , তখন রোগীরা ভাবে বাড়তি পয়সার লোভে হয়তো ডাক্তার বাইরে এক্স – রে করতে করছে । স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ও বাহঃ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *